আরবি নাম ক্যালেন্ডার ২০২৫ - আরবি ১২মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫

পেজ সূচিপত্র ঃ আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫

• আরবি ক্যালেন্ডার২০২৫ 
• আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ এর গুরুত্বপূর্ণ তারিখ  সমূহ
• জানুয়ারি মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• ফেব্রুয়ারী  মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• মার্চ মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• এপ্রিল মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• মে মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• জুন মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫  
• জুলাই মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• অগাস্ট মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• সেপ্টেম্বর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• অক্টোবর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• নভেম্বর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• ডিসেম্বর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
• মন্তব্য  

আরবি ক্যালেন্ডার বা হিজরি ক্যালেন্ডার হলো মুসলমানদের ধর্মীয় সময় গণনার পদ্ধতি যা চাঁদের ওঠা-নামার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ক্যালেন্ডারের সূচনা হয়েছে হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর হিজরতের বছর থেকে। ২০২৫ সালের আরবি ক্যালেন্ডার মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে কারণ এর মাধ্যমে রোজা, হজ, ঈদসহ সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান নির্ধারিত হয়।

হিজরি সন শুরু হয় ৬২২ খ্রিস্টাব্দে যখন মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। খলিফা হযরত উমর (রা.)এর খিলাফতকালে ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি ক্যালেন্ডার চালু করা হয়। এটি এক  চাঁদ্র পদ্ধতির ক্যালেন্ডার যেখানে প্রতিটি মাস নতুন চাঁদ দেখা থেকে শুরু হয়।

আরো পড়ুন ঃ নামাজ কবুল না হওয়ার কারন  

আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ এর গুরুত্বপূর্ণ তারিখ সমূহ ঃ

আরবি বা হিজরি ক্যালেন্ডার মুসলমানদের ধর্মীয় জীবন ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৫ সালে এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিন ও উৎসব পালিত হবে যা ইসলামী ঐতিহ্যের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। নিচে ২০২৫ সালের সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো তুলে ধরা হলো।

২০২৫ সালের মহররম মাস শুরু হবে প্রায় ৬ জুনে এবং ১০এ মহররম পালিত হবে সম্ভাব্য ১৫ জুন ২০২৫ তারিখে। এটি ইসলামের অন্যতম পবিত্র দিন যেদিন হযরত হুসাইন (রা.) শহিদ হন।  রজব মাস শুরু হবে প্রায় ১ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে, আর ২৭ এ রজব (মেরাজুন্নবি ) পালিত হবে আনুমানিক ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ । এরপর আসবে শাবান মাস যেখানে ১৪ শাবান (শবে বরাত ) পালিত হবে প্রায় ১২ জানুয়ারি ২০২৬ সালে সবচেয়ে বরকতময় মাস রমজান মাস শুরু হবে সম্ভাব্যভাবে ২৬ শে জানুয়ারী থেকে সেশ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারী ।এই মাস শেষে ইদুল ফিতর পালিত হবে যা সম্ভবত ২৮ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৬ সালে ।এরপর জিলহজ মাসে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হজ অনুষ্ঠিত হবে এবং ১০ জিলহজ ( ইদুল আযহা)  পালিত হবে সম্ভাব্যভাবে ৬এ মে ২০২৬ সালে ।

এছাড়াও ১২ রবিউল আওয়াল   অর্থাৎ নবীজির জন্ম ও ওফাত দিবস পড়বে প্রায় ১৬ আগস্ট ২০২৬  সালে । সব তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে এক-দুই দিন পার্থক্য হতে পারে। তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুসরণ করাই সর্বোত্তম।

জানুয়ারী  মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ 

আরবি বা হিজরি ক্যালেন্ডার ইসলামিক সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় নির্ধারণ পদ্ধতি। এটি চাঁদের উপর ভিত্তি করে তৈরি অর্থাৎ প্রতিটি মাস শুরু হয় নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসটি মূলত জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৬ হিজরি এবং রজব ১৪৪৬ হিজরি   মাসের অন্তর্ভুক্ত। জানুয়ারির প্রথম দিকটি জুমাদাল আখিরাহ মাসে পড়বে আর মাসের শেষদিকে রজব মাস শুরু হবে। 

এই মাসে মুসলমানদের জন্য বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ সময় রয়েছে। বিশেষ করে রজব মাস ইসলামিক বর্ষপঞ্জিতে একটি সম্মানিত মাস  যাকে হালাল  মাস বলা হয়। এই মাসে ইবাদত-বন্দেগি, নামাজ, রোজা ও দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া রজব মাসে ইসরা ও মিরাজের রাতের প্রস্তুতিও শুরু হয় যা পরবর্তী মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ইসলামিক সময়সূচি অনুসারে নামাজের সময়, রোজা এবং অন্যান্য আমলের হিসাবও এই ক্যালেন্ডার অনুসারে নির্ধারিত হবে। তাই মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবন নামাজের সময় এবং ধর্মীয় উৎসবের পরিকল্পনায় হিজরি ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অপরিসীম।

সার্বিকভাবে জানুয়ারি ২০২৫ সালের আরবি ক্যালেন্ডার আমাদের সময়জ্ঞান, ঈমান ও আমলের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় সময়ের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তায়ালা আর প্রতিটি দিনই ইবাদতের জন্য নতুন সুযোগ।

ইংরেজি	বার	আরবি তারিখ
০১	বুধবার	০১
০২	বৃহস্পতিবার	০২
০৩	শুক্রবার	০৩
০৪	শুনিবার	০৪
০৫	রবিবার	০৫
০৬	রবিবার	০৬
০৭	সোমবার	০৭
০৮	মঙ্গলবার	০৮
০৯	বুধবার	০৯
১০	বৃহস্পতিবার	১০
১১	শুক্রবার	১১
১২	শুনিবার	১২
১৩	রবিবার	১৩
১৪	সোমবার	১৪
১৫	মঙ্গলবার	১৫
১৬	বুধবার	১৬
১৭	বৃহস্পতিবার	১৭
১৮	শুক্রবার	১৮
১৯	শুনিবার	১৯
২০	রবিবার	২০
২১	সোমবার	২১
২২	মঙ্গলবার	২২
২৩	বুধবার	২৩
২৪	বৃহস্পতিবার	২৪
২৫	শুক্রবার	২৫
২৬	শুনিবার	২৬
২৭	রবিবার	০১
২৮	সোমবার	০২
২৯	মঙ্গলবার	০৩
৩০	বুধবার	০৪
৩১	বৃহস্পতিবার	০৫

ফেব্রুয়ারী মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ  

ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সাল মূলত রজব ১৪৪৬ হিজরি এবং শাবান ১৪৪৬ হিজরি  মাসের অন্তর্ভুক্ত। মাসের প্রথম দিকে রজব চলবে যা ইসলাম ধর্মে অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ মাস হিসেবে পরিচিত। রজব মাসকে হালাল মাস বলা হয় এই মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ এবং ইবাদত বন্দেগি বিশেষভাবে কবুল হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। অনেক মুসলমান এই মাসে অতিরিক্ত নামাজ, রোজা ও দোয়া পালন করেন।

মাসের শেষের দিকে শুরু হবে শাবান মাস  যা রমজান মাসের প্রস্তুতির সময় হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। শাবান মাসে মুসলমানরা রমজানের রোজা ও ইবাদতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে নেন। এই মাসে শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত এর আগমন ঘনিয়ে আসে যা পাপ মোচন ও দোয়া কবুলের রাত হিসেবে ধরা হয়।

ফেব্রুয়ারি মাসে ইসলামিক তারিখ অনুযায়ী প্রতিদিনের নামাজের সময়, রোজার দিন ও অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম নির্ধারিত হয়। তাই আরবি ক্যালেন্ডার মুসলমানদের জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইংরেজি	বার	আরবি তারিখ
০১	শুনিবার	০৩
০২	রবিবার	০৪
০৩	সোমবার	০৫
০৪	মঙ্গলবার	০৬
০৫	বুধবার	০৭
০৬	বৃহস্পতিবার	০৮
০৭	শুক্রবার	০৯
০৮	শুনিবার	১০
০৯	রবিবার	১১
১০	সোমবার	১২
১১	মঙ্গলবার	১৩
১২	বুধবার	১৪
১৩	বৃহস্পতিবার	১৫
১৪	শুক্রবার	১৬
১৫	শুনিবার	১৭
১৬	রবিবার	১৮
১৭	সোমবার	১৯
১৮	মঙ্গলবার	২০
১৯	বুধবার	২১
২০	বৃহস্পতিবার	২২
২১	শুক্রবার	২৩
২২	শুনিবার	২৪
২৩	রবিবার	২৫
২৪	সোমবার	২৬
২৫	মঙ্গলবার	২৭
২৬	বুধবার	২৮
২৭	বৃহস্পতিবার	২৯
২৮	শুক্রবার	০১

আরো পড়ুন ঃ ৩৬৫ দিনের নামাজের সময়সূচী ২০২৪  

মার্চ মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ  

২০২৫ সালের মার্চ মাসটি ইসলামিক বা হিজরি ১৪৪৬ সালের শাবান ও রমজান মাসের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামিক ক্যালেন্ডার চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় দিন তারিখ সামান্য ভিন্ন হতে পারে। মার্চ মাসের শুরুতে থাকবে শাবান মাস যা রমজানের আগমনের প্রস্তুতির মাস হিসেবে পরিচিত। মুসলমানরা এই মাসে নফল রোজা রাখেন ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে আত্মিক প্রস্তুতি নেন।

২০২৫ সালের ১ মার্চ প্রায় ৩০ শাবান ১৪৪৬ হিজরি হিসেবে ধরা যেতে পারে। পরবর্তী দিনগুলোতে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ মার্চ থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। রমজান মাসে মুসলমানরা রোজা রাখেন, নামাজ, দোয়া, দান ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন। মার্চ মাসের শেষ দিকে অর্থাৎ প্রায় ৩০ মার্চের মধ্যে রমজানের মাঝামাঝি সময় অতিক্রান্ত হবে।

সার্বিকভাবে মার্চ ২০২৫ ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস কারণ এটি রমজানের সূচনা ও বরকতের সময়।

ইংরেজি	বার	আরবি তারিখ
০১	শুনিবার	৩০
০২	রবিবার	০১
০৩	সোমবার	০২
০৪	মঙ্গলবার	০৩
০৫	বুধবার	০৪
০৬	বৃহস্পতিবার	০৫
০৭	শুক্রবার	০৬
০৮	শুনিবার	০৭
০৯	রবিবার	০৮
১০	সোমবার	০৯
১১	মঙ্গলবার	১০
১২	বুধবার	১১
১৩	বৃহস্পতিবার	১২
১৪	শুক্রবার	১৩
১৫	শুনিবার	১৪
১৬	রবিবার	১৫
১৭	সোমবার	১৬
১৮	মঙ্গলবার	১৭
১৯	বুধবার	১৮
২০	বৃহস্পতিবার	১৯
২১	শুক্রবার	২০
২২	শুনিবার	২১
২৩	রবিবার	২২
২৪	সোমবার	২৩
২৫	মঙ্গলবার	২৪
২৬	বুধবার	২৫
২৭	বৃহস্পতিবার	২৬
২৮	শুক্রবার	২৭
২৯	শুনিবার	২৮
৩০	রবিবার	২৯
৩১	সোমবার	৩০

এপ্রিল মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ 

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসটি হিজরি ১৪৪৬ সালের রমজান মাসের শেষ ভাগ এবং শাওয়াল মাসের শুরুতে পড়ে। এপ্রিলের শুরুতে রমজান মাস চলমান থাকে। মুসলমানরা এই মাসে রোজা শেষের দিকে বিশেষ ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত এবং নফল নামাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। এই মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন ঈদুল ফিতর  হলো  যা রোজার শেষের পর পালিত হয়। চাঁদ দেখা অনুযায়ী এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে রমজানের শেষ দিন এবং মধ্যবর্তী সময়ে ঈদ উদযাপিত হয়।

শাওয়াল মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানরা ইদের আনন্দ এবং সামাজিক মিলনের মাধ্যমে অংশ  নেন। দান ও ক্ষুধার্তদের সহায়তা করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন। এপ্রিল মাসে হিজরি তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল তাই আনুমানিক তারিখে রমজান শেষ হয় প্রায় এপ্রিলের ৩০ তারিখে এবং শাওয়াল মাস শুরু হয়। 

 

ইংরেজি	বার	আরবি তারিখ
০১	মঙ্গলবার	০২
০২	বুধবার	০৩
০৩	বৃহস্পতিবার	০৪
০৪	শুক্রবার	০৫
০৫	শুনিবার	০৬
০৬	রবিবার	০৭
০৭	সোমবার	০৮
০৮	মঙ্গলবার	০৯
০৯	বুধবার	১০
১০	বৃহস্পতিবার	১১
১১	শুক্রবার	১২
১২	শুনিবার	১৩
১৩	রবিবার	১৪
১৪	সোমবার	১৫
১৫	মঙ্গলবার	১৬
১৬	বুধবার	১৭
১৭	বৃহস্পতিবার	১৮
১৮	শুক্রবার	১৯
১৯	শুনিবার	২০
২০	রবিবার	২১
২১	সোমবার	২২
২২	মঙ্গলবার	২৩
২৩	বুধবার	২৪
২৪	বৃহস্পতিবার	২৫
২৫	শুক্রবার	২৬
২৬	শুনিবার	২৭
২৭	রবিবার	২৮
২৮	সোমবার	২৯
২৯	মঙ্গলবার	০১
৩০	বুধবার	০২

  

        মে মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ

 মে ২০২৫ মাসটি হিজরি ১৪৪৬ সালের শাওয়াল ও ১৪৪৭ সালের জিলকদ মাসের মধ্যে পড়ে। এই মাসের শুরুতে শাওয়াল মাস চলমান থাকে যা রমজানের শেষ এবং ঈদুল ফিতরের পরের মাস। মুসলমানরা এই মাসে ঈদের আনন্দ উদযাপন করেন এবং নফল ইবাদত, দান ও সামাজিক কাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন।

শাওয়াল মাসের প্রথম ১০ দিনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় কারণ এই সময় নফল রোজা রাখা সুন্নত। মে মাসের মধ্যভাগে হিজরি তারিখ অনুযায়ী জিলকদ মাসের শুরু হয় যা হজের প্রস্তুতির মাস হিসেবে পরিচিত। জিলকদ মাসে মুসলমানরা হজের জন্য প্রস্তুতি নেন এবং আত্মিক প্রশান্তি অর্জনের জন্য ইবাদত ও দোয়ায় মনোনিবেশ করেন।

মে ২০২৫ মাসের আরবি ক্যালেন্ডার চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তারিখগুলো সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। আনুমানিক হিসেবে মে মাসের প্রথম দিকে শাওয়াল মাসের কিছু দিন এবং মাসের শেষের দিকে জিলকদ মাসের শুরু দেখা যায়।

ইংরেজি	বার	আরবি তারিখ
০১	বৃহস্পতিবার	০৩
০২	শুক্রবার	০৪
০৩	শুনিবার	০৫
০৪	রবিবার	০৬
০৫	সোমবার	০৭
০৬	মঙ্গলবার	০৮
০৭	বুধবার	০৯
০৮	বৃহস্পতিবার	১০
০৯	শুক্রবার	১১
১০	শুনিবার	১২
১১	রবিবার	১৩
১২	সোমবার	১৪
১৩	মঙ্গলবার	১৫
১৪	বুধবার	১৬
১৫	বৃহস্পতিবার	১৭
১৬	শুক্রবার	১৮
১৭	শুনিবার	১৯
১৮	রবিবার	২০
১৯	সোমবার	২১
২০	মঙ্গলবার	২২
২১	বুধবার	২৩
২২	বৃহস্পতিবার	২৪
২৩	শুক্রবার	২৫
২৪	শুনিবার	২৬
২৫	রবিবার	২৭
২৬	সোমবার	২৮
২৭	মঙ্গলবার	২৯
২৮	বুধবার	৩০
২৯	বৃহস্পতিবার	০১
৩০	শুক্রবার	০২
৩১	শনিবার	০৩

জুন মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ  

২০২৫ সালের জুন মাসটি হিজরি ১৪৪৬ ১৪৪৭ সালের অন্তর্ভুক্ত। জুন মাসে শাওয়াল মাসের শেষ ও জিলকদ মাসের শুরু থাকে। শাওয়াল মাসের শুরুতে মুসলমানরা ঈদুল ফিতরের আনন্দ উদযাপন করেন এবং সামাজিক ও পারিবারিক মিলন অনুষ্ঠিত হয়। এটি রোজার পরে আনন্দ ও কৃতজ্ঞতার মাস হিসেবে পরিচিত।

জুন মাসের প্রথম দিকে কিছু দিন শাওয়াল মাসে পড়ে এবং মাসের মধ্যভাগে জিলকদ মাস শুরু হয়। জিলকদ মাস ইসলামিক ক্যালেন্ডারে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি হজের প্রস্তুতির মাস। মুসলমানরা এই মাসে ইবাদত, দান ও নফল নামাজের মাধ্যমে আত্মিক প্রস্তুতি নেন। জুন মাসে বিশেষভাবে ঈদ উদযাপন সামাজিক মিলন ও দান দানের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।

হিজরি তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় জুন মাসের তারিখ আনুমানিকভাবে নির্ধারিত হয়। জুনের প্রথম দিকে শাওয়াল মাসের মধ্যভাগ এবং মাসের শেষ দিকে জিলকদ মাসের শুরু। এই মাসটি মুসলমানদের দৈনন্দিন ইবাদত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ।

ইংরেজি	বার	আরবি তারিখ
০১	রবিবার	০৫
০২	সোমবার	০৬
০৩	মঙ্গলবার	০৭
০৪	বুধবার	০৮
০৫	বৃহস্পতিবার	০৯
০৬	শুক্রবার	১০
০৭	শুনিবার	১১
০৮	রবিবার	১২
০৯	সোমবার	১৩
১০	মঙ্গলবার	১৪
১১	বুধবার	১৫
১২	বৃহস্পতিবার	১৬
১৩	শুক্রবার	১৭
১৪	শুনিবার	১৮
১৫	রবিবার	১৯
১৬	সোমবার	২০
১৭	মঙ্গলবার	২১
১৮	বুধবার	২২
১৯	বৃহস্পতিবার	২৩
২০	শুক্রবার	২৪
২১	শুনিবার	২৫
২২	রবিবার	২৬
২৩	সোমবার	২৭
২৪	মঙ্গলবার	২৮
২৫	বুধবার	২৯
২৬	বৃহস্পতিবার	৩০
২৭	শুক্রবার	০১
২৮	শুনিবার	০২
২৯	রবিবার	০৩
৩০	সোমবার	০৪

জুলাই মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ঃ 

২০২৫ সালের জুন এবং জুলাই মাসগুলো হিজরি ১৪৪৬–১৪৪৭ সালের গুরুত্বপূর্ণ মাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সময়টি রমজানের শেষ এবং শাওয়াল ও জিলহজ্জের প্রারম্ভিক অংশের সাথে মিলিত। জুন মাসে রমজান মাস শেষ হওয়ার পরে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মুসলিমরা এই মাসে রোজা সমাপ্তির আনন্দ উদযাপন করে এবং দরিদ্র ও ক্ষুধার্তদের সহায়তা করার মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে।

জুনের শেষের দিকে এবং জুলাই মাসের শুরুতে শাওয়াল মাস চলে, যা রমজান শেষে অনুশীলিত সুন্নাহ রোজা (সাওয়াল রোজা) পালন করার সময়। মুসলিম সম্প্রদায়ে এই সময়ে ইবাদত, নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং দান দেওয়া বিশেষ গুরুত্ব পায়।

জুলাই মাসে হিজরি ক্যালেন্ডারের দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থাৎ জুলহিজ্জাহ মাসের শুরু হয়। এই মাসটি হজ পালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যারা হজের জন্য সক্ষম, তারা কাবা শরীফে পুণ্য অর্জনের জন্য যান। মুসলমানরা এই সময়ে আত্মসমালোচনা, ইবাদত ও নৈতিক জীবনযাপনকে গুরুত্ব দেন।

অগাস্ট মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ  

অগাস্ট মাসে হিজরি ১৪৪৬ সালের জিলহজ মাস এবং ১৪৪৭ সালের মুহাররম মাসের সময় অন্তর্ভুক্ত থাকে। জিলহজ মাস মুসলিমদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এই মাসে এবং এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন হয়।

২০২৫ সালের অগাস্টে মুসলিমরা জিলহজ মাসের প্রথম অংশে হজ্ব পালন করবেন যেখানে প্রতিটি ইবাদত ও প্রার্থনা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটি সুযোগ। জিলহজ মাসের শেষের দিকে ঈদুল আজহা পালিত হয়, যা কোরবানি ও সামাজিক মিলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও মহররম মাসের সূচনার দিকে ধর্মীয় পালন এবং নফল ইবাদত অব্যাহত থাকে।

চাঁদ দেখা অনুযায়ী তারিখ সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। তবে আনুমানিকভাবে অগাস্ট মাস মুসলমানদের জন্য ইবাদত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।

সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে হিজরি ১৪৪৬–১৪৪৭ সালের মধ্যবর্তী মাস। এই মাসে মুসলিমরা সাধারণত ইবাদত, নামাজ, এবং নফল রোজার মাধ্যমে আত্মিক প্রস্তুতি নেন। গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে রোজা, জুম্মার নামাজ এবং ইসলামিক ইভেন্টগুলো অন্তর্ভুক্ত। চাঁদ দেখা অনুযায়ী হিজরি তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসটি মুসলিমদের জন্য ধর্মীয় কার্যক্রম এবং সামাজিক মিলনের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

অক্টোবর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ  

অক্টোবর ২০২৫ সালে হিজরি ১৪৪৭ সালের মহরম ও সফর মাসের অংশ পড়ে। মহরম মাস ইসলামের পবিত্র মাসগুলোর একটি যেখানে বিশেষভাবে নফল ইবাদত, রোজা ও দোয়া করা হয়। মুসলমানরা এই সময় আত্ম-পরিশোধন ও ধর্মীয় কার্যক্রমে মনোযোগ দেন। অক্টোবর মাসে হিজরি তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় আনুমানিক হিসাব প্রযোজ্য। সফর মাসে সাধারণ জীবনের কাজের সঙ্গে ইবাদতও চালু থাকে।

নভেম্বর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ 

নভেম্বর ২০২৫ সালে হিজরি ১৪৪৭ সালের জুমাদিউল আউয়াল এবং জুমাদিউস সানি মাসের অংশ পড়ে। মুসলমানরা এই মাসে নফল ইবাদত দোয়া ও দান দিয়ে আত্মিক উন্নতি করেন। এটি রোজা বা অন্যান্য ইবাদতের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মাস নয় তবে নিয়মিত নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও ভালো কাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব। নভেম্বর মাসে ইসলামী তারিখ চাঁদ দেখা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে তাই স্থানীয় ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা উত্তম।

ডিসেম্বর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ঃ  

ডিসেম্বর ২০২৫ হিজরি ১৪৪৭ সালের রবিউল-আউয়াল ও রাবি‘সানী মাসের অন্তর্ভুক্ত। মাসটি ইসলামী ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ও ইবাদতের জন্য পরিচিত। মুসলমানরা এই সময় কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ এবং দান-খয়রাতের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করেন। হিজরি তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ডিসেম্বরের শুরুতে রবিউল -আউয়াল মাসের শুরু এবং শেষে রাবি‘সানী মাস শুরু হয়। ডিসেম্বর মাসে ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ড বাড়ে  যা মুসলমানদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।

মন্তব্য ঃ 

২০২৫ সালের আরবি ক্যালেন্ডার মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হিজরি ১৪৪৬–১৪৪৭ সালের মধ্যে বিভিন্ন মাসকে অন্তর্ভুক্ত করে। পুরো বছরের ক্যালেন্ডার মুসলিমদের দৈনন্দিন ইবাদত, রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত এবং বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর সময়সূচি নির্ধারণে সহায়ক। মাস ভিত্তিক তারিখগুলো চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে তবে মূল ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। ক্যালেন্ডারটি রমজান, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী দিনগুলোকে চিহ্নিত করে যা মুসলিমদের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীবনে দিকনির্দেশনা দেয়। এছাড়া এটি পরিবারের মধ্যে মিলন, দান, শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিকল্পনা করার সুযোগ দেয়। পুরো বছরের ক্যালেন্ডারটি মুসলমানদের জীবনকে সংগঠিত ধারাবাহিক ও আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ রাখে।